কর্তৃপক্ষের কলঙ্কজনক অভিযোগের কারণে বহু বছর ধরে তিনি তার সীমানা ছাড়িয়ে অনেক বেশি জীবনযাপন করেছেন, তা সত্ত্বেও রাশিয়ায় অ্যাভজেনি চিচভারকিন মোটামুটি বিখ্যাত ব্যক্তি।
চিচভারকিন কীসের জন্য বিখ্যাত এবং তিনি কে
ইভেজেনি চিচভারকিন অন্যতম সফল ব্যবসায়ী যিনি সাফল্যের নিজস্ব পথ তৈরি করেছেন। ইউজিন তার যৌবনে একটি উদ্যোক্তা লাইন আবিষ্কার করেছিলেন যখন তিনি বাজারে জিনিসগুলি পুনরায় বিক্রয় করেন।
অ্যাভজেনির বাবা নাগরিক বিমান চালনায় কাজ করতেন এবং তাঁর মা বিদেশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক মন্ত্রকের অর্থনীতিবিদ ছিলেন। যেহেতু অভিভাবকরা প্রায়শই বিদেশ ভ্রমণ করেছিলেন, তাই তারা ব্যবসায়িক ভ্রমণের থেকে সুন্দর বিদেশী জিনিস এবং গৃহস্থালীর জিনিসগুলি নিয়ে আসেন। সোভিয়েত ইউনিয়নে, প্রত্যেকের ধূসর রঙের ছিল, এবং চিচভারকিন্স বিলাসিতার স্পর্শ সহ সবকিছু ছিল। সম্ভবত এটি ইউজিনের জন্য বিলাসবহুল জীবনের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করার প্রেরণা ছিল।
২ এপ্রিল, ১৯৯ Ev এভেজেনি চিচভারকিন এবং তৈমুর আর্তেমিয়েভ ইউরোসেটের আয়োজন করেছিলেন। অ্যাভজেনি একাডেমি থেকে স্নাতক হওয়ার ঠিক এক বছর পরে। পট-বেলড মধ্যবয়সী চাচাদের পটভূমির বিপরীতে ইভজেনি এবং তৈমুরকে অন্তত অদ্ভুত লাগছিল।
তরুণ উদ্যোক্তারা প্রায় অবিলম্বে বাজারটি দখল করে, বৃহত্তম সেলুলার খুচরা বিক্রেতাদের হয়ে ওঠে। রাশিয়ায় যখন সেল ফোনগুলি প্রদর্শিত শুরু হয়েছিল ঠিক তখনই ইউরোসেটটি খোলা হয়েছিল। তাদের জন্য বিশাল চাহিদা ছিল, কারণ তারা মোটেই দেশে ছিল না। নেটওয়ার্কটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং শীঘ্রই, এমনকি ছোট শহরগুলিতে, সেল ফোন স্টোরগুলি ইতিমধ্যে খোলা ছিল। সংস্থার নীতি পরিষ্কারভাবে পশ্চিমা মডেলটিকে ব্যবসা করার দেখায়। রাশিয়ায় স্টোরগুলিতে প্রচার এবং বিক্রয় সংগঠিত করার মতো কোনও জিনিস ছিল না।
চিচভারকিন ইতিহাসে নেমে পড়েছিলেন এক অসাধারণ ব্যবসায়ী, এক নতুন যুগের ব্যবসায়ী হিসাবে। তিনি তার চেহারা নিয়ে মাথা ঘামান নি, তিনি তরুণ এবং উচ্চাভিলাষী ছিলেন, তিনি সবসময় বাক্সের বাইরে ভাবেন। তার চিন্তাভাবনার জন্য ধন্যবাদ, নেটওয়ার্ক সর্বদা পাহাড়ের উপরে চলে গেছে।
তবে ইউজিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তিনি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারবেন। তিনি ইউনাইটেড রাশিয়া দলকে সমর্থন করেননি, এক ধরণের উদার সংস্কারক হয়েছিলেন এবং রাইট কোজ পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।
এটা পরিষ্কার যে এই ধরনের উজ্জ্বল মানুষ সবসময়ই চোখে থাকে। তারা জনগণকে নেতৃত্ব দেয়। এজন্য এটিকে নির্মূল করতে হয়েছিল। ২০০৩ সালে, সংস্থাটিতে ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার হিসাবে কাজ করা আন্দ্রে ভ্লাসকিনকে নিয়মিত ফোন চুরির ঘটনায় সুরক্ষা সেবা দিয়েছিল। প্রহরীরা ভ্লাসকিনের উপর চাপ দেয়, এবং সে পালাক্রমে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আমি একটি বিবৃতি লিখেছি। তবে এই বিবৃতিটি দীর্ঘ ২২ বছর স্থায়ী হয়েছিল।
২ সেপ্টেম্বর, ২০০৮-এ ইউরোসেটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি অনুসন্ধান চালানো হয়েছিল, এবং 20 দিন পরে চিচভারকিন সংস্থাটি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। ক্রেতা ছিলেন আলেকজান্ডার মামুত।
চিচভারকিন ও তার পরিবার তড়িঘড়ি করে লন্ডনে চলে গেলেন। পরে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খোলায়। অ্যাভজেনি চিচভারকিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অপহরণের অভিযোগ ছিল।
তারা তাকে আন্তর্জাতিক আকাঙ্ক্ষিত তালিকায় রাখে। ব্রিটিশ আদালত চিচভারকিন মামলাটিকে বিশেষ পক্ষপাতিত্বের সাথে বিবেচনা করে। তাকে প্রথমে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তারপরে সমস্ত অভিযোগ বাতিল করে দেয়।
লন্ডনে, চিভকারকিন এবং আর্টেমিভ অভিজাত এলকোহল বিক্রি করে, হেডনিজম ড্রিঙ্কস লিমিটেড সংস্থাটি চালু করেছিলেন। এবং আবার সাফল্য তাদের অপেক্ষায় ছিল।
এভজেনি চিচভারকিনের প্রথম স্ত্রী
যুগে যুগে ইউজিন এবং অ্যান্টোনিনা বিয়ে করেছিলেন। তাদের বিবাহ দৃ strong় ছিল, ইউজিনের পক্ষে কোনও ষড়যন্ত্রের নজরে পড়েনি কখনও। তাদের একটি যৌথ পুত্র, ইয়ারোস্লাভ এবং একটি মেয়ে, মার্টা। অ্যান্টোনিনা তার সমস্ত সময় তার স্বামী এবং সন্তানদের জন্য উত্সর্গ করে কোনও কাজ করেন নি। তিনি সবচেয়ে কঠিন মুহুর্তগুলিতে স্বামীর সাথে ছিলেন: যখন ইউরোসেট সবেমাত্র উঠছিল, এবং যখন তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা খোলা হয়েছিল।
স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদের নিয়ে লন্ডনে চলে আসার পরে, চিভকারকিন একটি দেশের বাড়িতে বসতি স্থাপন করেছিলেন, যেখানে তিনি বাগানে কাজ করা উপভোগ করেছিলেন।
2016 সালে, ইউজিন এবং অ্যান্টোনিনার বিবাহ অজানা কারণে ভেঙে যায় এবং দিগন্তে একটি নতুন প্রেমিক হাজির হন। ইউরোসেটের প্রাক্তন প্রধান হিসাবে নিজেই বলেছেন: "প্রথম এবং দ্বিতীয়টির মধ্যে একটি ছোট বিরতি রয়েছে।"
দ্বিতীয় স্ত্রী - তাতিয়ানা ফোকিনা
ইউজিন দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন ৪২-এ। ইভেন্টটি 2017 সালের বসন্তে হয়েছিল the বিবাহিতটি হবে এমন কোনও খবর পাওয়া যায় নি।সাধারণ লোকেরা জানতে পেরেছিল যে কেবলমাত্র ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ছবি, যেখানে তিনি এবং তাতায়ানা উত্সবযুক্ত পোশাক পরেছিলেন এবং সেই সৌন্দর্য তার হাতে বিবাহের তোড়া ধরেছিল বলেই এই উদযাপনটি হয়েছিল।
তার দ্বিতীয় স্ত্রী শুরু থেকেই একটি মদের দোকানে কাজ করেছেন worked আমরা বলতে পারি যে চিচভারকিনের অ্যালকোহল ব্যবসায়ের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
টাটিয়ানা জন্মগ্রহণ ও সেন্ট পিটার্সবার্গে বেড়ে ওঠা, তিনি একজন ফিলিওলজিস্ট হিসাবে শিক্ষিত ছিলেন। লন্ডনে, তিনি একজন উদ্যোক্তার হয়ে কাজ করেছিলেন এবং তারপরে ভাগ্য তাকে ইউজিনের সাথে একত্রিত করে, যারা কেবলমাত্র একটি নতুন স্টোরের জন্য একটি দল নিয়োগ করছিল।
ফোকিনা তার পেশাদার গুণাবলীর জন্য মদের দোকানটিকে একটি ভাল আয়ের দিকে আনতে সহায়তা করেছিল। তাতিয়ানা খুব অবিচল, ঝরঝরে ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি তার বুদ্ধি এবং কবজ দিয়ে ইউজিনের সমস্ত বন্ধুকে জয় করেছিলেন।
এখন দ্বিতীয় বিয়ে থেকে ইভেনির একটি মেয়ে রয়েছে। তাতিয়ানা তার ব্যবসা চালিয়ে যায় এবং ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প চালায়।
